বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে করতে হয়, গুরু উত্তরসাধক মাত্র।
ভাব-সম্প্রসারণ:বিদ্যা অর্জনে চাই সাধনা, আর এ সাধনায় মূল ভূমিকা বিদ্যার্থীর, গুরুর ভূমিকা এখানে কেবল সাহায্যকারীর। বিদ্যা অর্জন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া; শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্মিলিত চেষ্টায় এ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলে। বিদ্যা-অর্জনের প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের ভূমিকা হলো দিক নির্দেশনামূলক। তিনি একটি বিষয়কে বিশ্লেষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে
সহজবোধ্য করে তোলেন। কিন্তু বিষয়টি রপ্ত করে বিদ্যার্জনের প্রক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করার দায়িত্ব শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীকে গভীর নিষ্ঠায় নিরন্তর চর্চার মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন করতে হয়। শিক্ষার্থীর শৈথিল্য বিদ্যা অর্জনের প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করে দেয়।
আর শিক্ষার্থীর কর্ম-প্রচেষ্টা ও সাধনা বিদ্যা অর্জনের কাজটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে। আকাশের মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে নেমে এলে মাটি যেমন তা শুষে নিয়ে নিজেকে উর্বর করে এবং পত্র-পুষ্প-শস্যে নিজের বুক ভরিয়ে তোলে, তেমনি শিক্ষকের দেওয়া নির্দেশনা শিক্ষার্থী গভীর অধ্যবসায়ে আয়ত করে নিজের ভেতরকার সুপ্ত চিন্তা ও জ্ঞানশক্তিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে
পারে। আর এভাবেই শিক্ষার্থীর শিক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন ও সার্থক হয়ে ওঠে। শিশু যখন হাঁটতে চায়, তখন তার সামনে দুটো হাত বাড়িয়ে নিলে শিশুটির যেমন সাহস ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং এক-পা দু-পা করে এক পর্যায়ে হাঁটা শিখে যায়। বড়দের কাজ শিশুর হয়ে হেঁটে নেওয়া নয়, বড়দের কাজ হলো অভয় নিয়ে সাহস জুগিয়ে শিশুকে হাঁটতে শেখানো। একইভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সামনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন, শিক্ষার্থী তার নিজের চেষ্টায়, সাধনায় বিদ্যার্জনের
কাজটি সম্পন্ন করবে। গুরু বিদ্যার সন্ধান দেন, আর শিষ্য সেই বিন্যার সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করে বিদ্যা আয়ত্ত করে নিজেকে আলোকিত করে এবং জগৎকে উপহার দেয় আলো। শিক্ষক শিক্ষার্থীর হাতে ধরিয়ে দেন জ্ঞানের দীপশিখা, আর শিক্ষার্থী সেই দীপশিখা হাতে জগতের অনন্ত রহস্যের আঁধার ভেন করতে করতে অকুতোভয়ে এগিয়ে চলে। শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান পায়, আর সেই জ্ঞানের আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করে, সাধন করে
মানুষের অশেষ কল্যাণ। উদাহরণস্বরূপ গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটলের কথা বলা যায়। সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন প্লেটো আর প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্টটল। গুরুর কাছ থেকে বিদ্যার নির্দেশনা পেয়ে তাঁরা জ্ঞানের সাধনায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন এবং জ্ঞানের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন। জ্ঞান-সাধনায় গুরু-শিষ্যের এই অনন্য দৃষ্টান্ত মানবসভ্যতার ইতিহাসে তাঁদেরকে অগ্রাম করেছে। বলা যায়, শিক্ষক জ্ঞানের সাধনায় পথ প্রদর্শক, কিন্তু জ্ঞানের পথটি মাড়িয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব শিক্ষার্থীর এবং এ সাধনা নিঃসন্দেহে কঠিন ও শ্রমসাপেক্ষ।
সহজবোধ্য করে তোলেন। কিন্তু বিষয়টি রপ্ত করে বিদ্যার্জনের প্রক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করার দায়িত্ব শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীকে গভীর নিষ্ঠায় নিরন্তর চর্চার মাধ্যমে বিদ্যা অর্জন করতে হয়। শিক্ষার্থীর শৈথিল্য বিদ্যা অর্জনের প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করে দেয়।
আর শিক্ষার্থীর কর্ম-প্রচেষ্টা ও সাধনা বিদ্যা অর্জনের কাজটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে। আকাশের মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে নেমে এলে মাটি যেমন তা শুষে নিয়ে নিজেকে উর্বর করে এবং পত্র-পুষ্প-শস্যে নিজের বুক ভরিয়ে তোলে, তেমনি শিক্ষকের দেওয়া নির্দেশনা শিক্ষার্থী গভীর অধ্যবসায়ে আয়ত করে নিজের ভেতরকার সুপ্ত চিন্তা ও জ্ঞানশক্তিকে সমৃদ্ধ করে তুলতে
পারে। আর এভাবেই শিক্ষার্থীর শিক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন ও সার্থক হয়ে ওঠে। শিশু যখন হাঁটতে চায়, তখন তার সামনে দুটো হাত বাড়িয়ে নিলে শিশুটির যেমন সাহস ও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় এবং এক-পা দু-পা করে এক পর্যায়ে হাঁটা শিখে যায়। বড়দের কাজ শিশুর হয়ে হেঁটে নেওয়া নয়, বড়দের কাজ হলো অভয় নিয়ে সাহস জুগিয়ে শিশুকে হাঁটতে শেখানো। একইভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থীর সামনে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন, শিক্ষার্থী তার নিজের চেষ্টায়, সাধনায় বিদ্যার্জনের
কাজটি সম্পন্ন করবে। গুরু বিদ্যার সন্ধান দেন, আর শিষ্য সেই বিন্যার সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করে বিদ্যা আয়ত্ত করে নিজেকে আলোকিত করে এবং জগৎকে উপহার দেয় আলো। শিক্ষক শিক্ষার্থীর হাতে ধরিয়ে দেন জ্ঞানের দীপশিখা, আর শিক্ষার্থী সেই দীপশিখা হাতে জগতের অনন্ত রহস্যের আঁধার ভেন করতে করতে অকুতোভয়ে এগিয়ে চলে। শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান পায়, আর সেই জ্ঞানের আলোয় পৃথিবীকে আলোকিত করে, সাধন করে
মানুষের অশেষ কল্যাণ। উদাহরণস্বরূপ গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটলের কথা বলা যায়। সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন প্লেটো আর প্লেটোর ছাত্র ছিলেন এরিস্টটল। গুরুর কাছ থেকে বিদ্যার নির্দেশনা পেয়ে তাঁরা জ্ঞানের সাধনায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন এবং জ্ঞানের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন। জ্ঞান-সাধনায় গুরু-শিষ্যের এই অনন্য দৃষ্টান্ত মানবসভ্যতার ইতিহাসে তাঁদেরকে অগ্রাম করেছে। বলা যায়, শিক্ষক জ্ঞানের সাধনায় পথ প্রদর্শক, কিন্তু জ্ঞানের পথটি মাড়িয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব শিক্ষার্থীর এবং এ সাধনা নিঃসন্দেহে কঠিন ও শ্রমসাপেক্ষ।
0 Comments